বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ

23rd June 2021 10:14 pm বর্ধমান
বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : বাংলা পক্ষ বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সব সময় লড়াইয়ে আছে। গোর্খাল্যান্ড চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ শিলিগুড়ি, কলকাতায় ঐতিহাসিক মিছিল করেছে এবং সারা রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করেছে৷ ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বাঙালি সহ ভূমিপুত্ররা বিজেপিকে চূড়ান্ত ভাবে পরাস্ত করেছে। হারার পর থেকেই বাঙালির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে তৎপর বিজেপি। বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালির শত্রু। বিজেপি সাংসদ জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলেছেন। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিজেপি। চাকরি-বাজার-পুঁজিতে বাঙালির অধিকারের ইস্যুকে চাপা দিয়ে বাঙালির সর্বনাশ করতে উদ্যত বিজেপি। তাই বাংলাকে আবারও টুকরো টুকরো করতে চায় হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী, বাঙালির শত্রু বিজেপি। তারা বাংলায় আগুন জ্বালাতে চায়। 
এরই প্রতিবাদে লড়াইয়ে আছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর উত্তর দিনাজপুর জেলা সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে আজ রায়গঞ্জ থানায় জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হল। বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র  করা ও বাংলায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টার অভিযোগে ওনাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক বাংলার প্রশাসন- বাংলা পক্ষ এই অভিযোগ জানায়। 
কৌশিক মাইতি জানান, "বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালির শত্রু৷ ভোটে হেরে বাঙালির ক্ষতি করতে উদ্যত তারা। আবারও বাংলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চায়। বাংলা পক্ষ লড়াইয়ে আছে। বাঙালির রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীদের পরাস্ত করতে, বাংলা ভাগ রুখতে বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে হাজার হাজার বাঙালি আবারও রক্ত দিতে প্রস্তুত।"





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।